যে মামলায় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে, হাইকোর্টে খালেদা জিয়ার সাজা বাড়ানোর আবেদন করেছিল দুদক, একই মামলায় আপিল বিভাগে দুদক বলছে জিয়া অরফানেজে কোন অর্থ আত্মসাৎ হয়নি। সেসব বিষয়ে বিবেচনায় নিয়ে খালেদা জিয়ার ১০ বছরের সাজা স্থগিত করেছেন সর্বোচ্চ আদালত।
এখন কত দ্রুত এর শুনানি হয় তার অপেক্ষায় আইনজীবীরা। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা নিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে জল ঘোলা কম হয়নি, কথায় কথায় খালেদা জিয়াকে বলা হত এতিমের টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি, সংসদের মতো যায়গায় দাড়িয়ে একাধিকবার শেখ হাসিনা বলেছেন অর্থ কিভাবে আত্মসাৎ হয়েছে।
২০১৮ সালে এই মামলার ভার কাঁধে নিয়ে জেল জীবন শুরু হয় খালেদা জিয়ার, তবে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর পাল্টে যায় পুরো দৃশ্যপট।
রোববার দুদক আপিল বিভাগকে প্রথমবার বলে এ মামলায় কোন অর্থ আত্মসাৎই হয়নি, সোমবার সকালে এই মামলায় আপিল বিভাগ খালেদা জিয়াকে আপিলের অনুমতি দিয়ে ১০ বছরের সাজা স্থগিত করে দেন।
দুদক আইনজীবি বলছেন যথাসময়ে এই মামলার প্রক্রিয়া অনুসরণ করে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে, এদিকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে পেপারবুক তৈরির কাজ চলছে বলে জানালেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া দুই বছর এক মাস ১৭ দিন জেলে ছিলেন। করোনার সময় ২০২০ সালের ২৫ মার্চ নির্বাহী আদেশে মুক্তি পান তিনি।