টানা ২১ মাস ধরে মার্কিন বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশ, সেখানে চিনকে টপকে এগিয়ে চলছে ভিয়েতনাম।
গেল সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ কমার্সের আওতাধীন অফিস অফ টেক্সটাইল এন্ড অ্যাপারেল অটেক্স এর আর দেয়া হালনাগাদ পরিসংখ্যানে মিলেছে এ তথ্য। এ অবস্থায় উদ্যোক্তা তৈরিতে নজর না দিলে আগামীতে আরো বড় মাসুল গুনতে হবে বলে সংখ্যা বিজিএমই এর সাবেক সভাপতির।
মার্কিন বাজার ধরতে দেশটির সঙ্গে ভিয়েতনামের মতোই বাংলাদেশের ও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি করার পরামর্শ দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা। একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অথচ মাসের পর মাস ধরে এই বাজারেই পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশ।
সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মার্কিন অটেক্সার দেয়া হালনাগাদ তথ্য চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি পোশাক রপ্তানি কারক শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে সবচেয়ে বাজে অবস্থা বাংলাদেশের ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর এর তুলনায় চলতি বছরের এই সময়ে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের রপ্তানি আয় কমেছে ৬ দশমিক ২৯ শতাংশ।
শীর্ষ রপ্তানিকারক চীনেরও কমেছে ০১ দশমিক ৯৫ শতাংশ ৪ দশমিক ১১ শতাংশ কমেছে মার্কিন বাজারের চতুর্থ শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক দেশ ইন্দোনেশিয়ার।
বিপরীতে আগস্ট পর্যন্ত ৮ মাসের নেতিবাচক ধারায় থাকলেও সেপ্টেম্বরে এসে মার্কিন বাজারের ঘুরে দাড়ানো ভিয়েতনামের পোশাক খাত থেকে রপ্তানি আয় বেড়ে গেছে ১ দশমিক ২৭ শতাংশ।
মন্দা কাটিয়ে ইতিবাচক রপ্তানিতে ফিরেছে ভারতও, অবশ্য এসময়ের মূল্যস্ফীতির চাপ সামাল দিতে গিয়ে বছর ব্যবধানের যুক্তরাষ্ট্র তৈরি পোশাকের আমদানি কমিয়েছে ২ দশমিক ৪৭ শতাংশ, যখন সংকুচিত রিজার্ভের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে সরকার।
তখন প্রধান রপ্তানি খাতের সবচেয়ে বড় বাজারে আবার ঘুরে দাঁড়াতে ক্ষুদ্র উদ্যেগতাদের পাশে দাড়ানো তাগাদা দিচ্ছেন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ডক্টর রুবানা হক।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের রপ্তানি বাড়াতে টিকফার পাশাপাশি ভিয়েতনামের মতো ওয়াশিংটনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি করতে হবে।
অটেক্সা এর হিসাব ২০২৩সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি পোশাকের বাজার হারানোর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ।